শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় মার্কিন ঘোষণায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২১, ২০২৩, ২:১৮ অপরাহ্ন /
শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় মার্কিন ঘোষণায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আশ্রয় ডেস্ক

শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের ঘোষণায় অস্বস্তি প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাক শিল্প। কিন্তু ওই পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এন্থনি ব্লিনকেনের ওই বক্তব্য ছিল এপেক সামিটে। এটি শুধু তৈরি পোশাক শিল্প বা টেক্সটাইল শিল্প বা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে নয়। এটি একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ যার মাধ্যমে তারা তাদের দূতাবাসগুলোর রাষ্ট্রদূতদের কাজ দিচ্ছেন বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একজন লেবার এটাশে নিয়োগ দিয়েছে। যেকোনও তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত না হলে কিছুর ভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং আমি মনে করি কোনোভাবেই বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের এই পদক্ষেপের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ নেই।’

বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলোর কোথাওই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতটা সুবিধা পায় না, এতটা সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না, যেটি বাংলাদেশ করেছে, বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘শ্রম অধিকার লঙ্ঘনকারীদের’ বিরুদ্ধেও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ‘মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শীর্ষক স্মারকে সই করেছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত ১৬ নভেম্বর এক ঘোষণায় এই তথ্য জানান।

কল্পনা আক্তার

ব্লিনকেনের বক্তব্যে ‘যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কারণে কল্পনা আক্তার বেঁচে আছে’ এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই পরবর্তী আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করবো– যদি আমার স্মরণশক্তি ঠিক থাকে, কল্পনা আক্তার একবারই গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০১০ সালে। তিনি একা নন। তারসঙ্গে একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরি করা অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের মামলাটি তুলে নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার পরে পশ্চিমা দেশের কিছু ক্রেতা যখন ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করলো, তখন কল্পনা আক্তার ও আরও দুই-একজন মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেখানেই গ্রেফতার হয়েছিলেন।’

কল্পনা আক্তার যেটি বলেছেন যে আমাদের কাছ থেকে হুমকি অনুভব করেন নাকি অন্য কারও কাছ থেকে – এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা জানতে চাইবো, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

কল্পনা আক্তার খুব সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করে তার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের রেকর্ডে, আইন-শৃংখলা বাহিনী রেকর্ডে – আমরা যতদুর খোজ নিয়ে দেখেছি – তিনি যে হুমকির মুখে আছেন, এটি বাংলাদেশের কাউকেই জানাননি। এটির সত্যতা কতটুকু আমরা জানতে চাইবো বলে তিনি জানান।