অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর দেশে সংখ্যালঘুরা অল্প কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বলেছেন, ইউনূস সরকার তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এবং সব সময় সে চেষ্টা করে যেতে থাকবো।
আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এসময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যে-সব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত।’
ড . ইউনূস বলেন, বলেন, ‘অল্প যেসমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দু’মাসের মাথায় দেশে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয় যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :