গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য সংলাপে বসতে রাজি আছে আওয়ামী লীগ, কিন্তু কার সঙ্গে সংলাপ হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শর্তহীন সংলাপে বসার অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনও বন্ধুদেশ যদি পরামর্শ দেয়, তবে আমরা সেটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করি। আমরা সেটি পর্যালোচনা করি। যদি আমরা মনে করি সেটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক, সেটি আমরা বিবেচনা করি।’
তবে তিনি জানান, পরামর্শ এলেই হবে না, সেটি দেশের জন্য বাস্তবসম্মত কিনা সেটিও দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি ট্রাম্প সাহেব এবং বাইডেন সাহেব সংলাপ করেন, তাহলে আমরাও রাজি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংলাপ করতে আপত্তি নেই। তবে কার সঙ্গে সংলাপ করবো সে সম্পর্কে আমাদের প্রশ্ন আছে।’
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনার বিষয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এবং তারা অত্যন্ত পরিপক্ব, সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব। তারা যেগুলো বলে সেগুলোতে আমাদের দ্বিমত নেই।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনাকে বলেন, ওনার দেশ একজন বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে বিদেশে পাঠায় কিনা।’
আপনার মতামত লিখুন :