
আশ্রয় ডেস্ক
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয় সেটা দেখানোর জন্যও একজন লোক থাকা প্রয়োজন। আমি হচ্ছি সেই। কিন্তু আমি যেকোনও সময় নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তিনি। একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বানে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হিরো আলম বলেন, আমি প্রার্থিতা উইথড্র (প্রত্যাহার) করবো না। আপনারা নিশ্চয়ই বলবেন কেন করবো না? আপনারাই হিরো আলমকে হিরো বানিয়েছেন এবং আপনারাই আবার হিরো আলমকে জিরো বানিয়ে আপনারাই বলেছেন হিরো আলম টাকা খেয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। মার খাওয়ার ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু না। আমি এর আগেও নির্বাচন করেছি।
তিনি বলেন, হিরো আলম অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে নির্বাচন করেছিল। এই নির্বাচন পুরোটাই সরকারের সাজানো নির্বাচন। এই নির্বাচনে মারামারি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নাই। এই নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়, সেটা দেখানোর মতো যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে, তারা কেউ নেই। এই নির্বাচন থেকে আমি যে কোনও সময় নিজেকে উইথড্র করতে পারি। নির্বাচনে টিকে থাকাটাই বড় কথা। আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন এবং দেখবেন এই নির্বাচনে কীভাবে জোর করে সিল মারে।
নিজের প্রার্থিতা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা সবাই বলেন আমি ভোটের দিন প্রার্থিতা উইথড্র করবো। কেন উইথড্র করতে চেয়েছি? এই যে পাতানো নির্বাচন, সারা বাংলাদেশের কেউ নির্বাচনে আসতেছে না। তারা কেন আসতেছে না, তারা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে এই পাতানো নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতিটা আসন ভাগ করে নিয়েছে। এই নির্বাচনে অংশ নিলে লাভের কোনও প্রশ্নই আসে না। আমি আজ বলেছিলাম, এই নির্বাচনে আমি প্রার্থিতা উইথড্র করব। তার কারণ হচ্ছে নির্বাচন করে আমি অনেক মার খেয়েছি, লাঞ্ছিত হয়েছি। শুরুতে ভেবেছিলাম এই নির্বাচন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি দুই দিন আগে নিজেই বলেছিলাম, আপনারা নির্বাচনে আসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, যেখানে সাড়ে সাত কোটি জনগণ, সেখানে সাড়ে সাত কোটি কম্বল। আমার কম্বল গেল কই। সেই হিসাবে এখন আমরা বলতে চাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীকে, ৩০০ আসনের মধ্যে আপনারা আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নিলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীও নিলেন। কিন্তু আমরা যারা আমজনতা আছি, তাদের আসন কোথায়?
হিরো আলম বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী থাকার পরেও নির্বাচনের তাদের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনও দরকার ছিল না। আমি একটা উদাহরণ টেনে বলি, ব্যারিস্টার সুমনের যে আসন সেখানে ব্যারিস্টার সুমন কিন্তু পার হবেন। সেখানে কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে যাবে। কারণ নির্বাচনে দেখাবে, সেখানে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। ফলাফল কিন্তু আমি আগেই বলে দিলাম। ব্যারিস্টার সুমন কিন্তু প্রথমে দলীয় প্রতীকে প্রার্থিতা চেয়েছিল, কিন্তু তাকে দেওয়া হয় নাই। এরাও কিন্তু আওয়ামী লীগেরই কর্মী ও তাদের দলের লোক।
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                        
আপনার মতামত লিখুন :