
আশ্রয় ডেস্ক
পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে পাট খাতের আমূল পরিবর্তন করতে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশনের (বিজিএমসি) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত “পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট সচিব মা. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
সেমিনারে “পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক পেপার উপস্থাপন করেন বিজেএমএ সভাপতি মো. আবুল হোসেন। এছাড়াও “পাট শিল্পের উন্নয়নে এর বহুমুখীকরণ, সম্ভাবনা ও করণীয়” শীর্ষক পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদুল করিম মুন্না।
সেমিনারে পাটপণ্যের বহুমুখীকরনের ওপর জোর দিয়ে এখাতে উদ্যোক্তাবৃন্দ নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের পরে সরকার প্রধান হিসেবে যতগুলো ভাষন দিয়েছেন সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পাট ও চামড়া শিল্পের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। পাট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাটি গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করা হবে। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারবো। পাটশিল্পকে এবং বেসরকারী খাতের উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। আমরা আশা করি পাটপণ্যকে জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হবো।
সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তিনি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছেন তিনি। তিনি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছেন যে বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ করেছেন। এ মেলায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন। তাই এ মেলার অভিজ্ঞতা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                        
আপনার মতামত লিখুন :