যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, তারা এখন পলাতক : তথ্যমন্ত্রী


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ৩:৫৩ অপরাহ্ন /
যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, তারা এখন পলাতক : তথ্যমন্ত্রী

আশ্রয় ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ এখন নির্বাচনমুখী। এই নির্বাচন যারা প্রতিহত করতে চেয়েছে, তারা এখন পালিয়ে গুপ্তস্থান থেকে গাড়ি পোড়াচ্ছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের উদ্যোগে নির্দেশনা ও মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি অনেক রাষ্ট্র যারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পাঠাবে কি না, তারাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি দল অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকটি আসনে গড়ে সাতজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
ভোটার উপস্থিতিতে কোনো ঘাটতি থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল, তারপরও সেই সব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এবারের নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, উৎসাহব্যঞ্জক এবং দেশের মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সাথে অনেক উন্নত দেশে যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি হয় না, তার চেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি হবে ইনশাআল্লাহ।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশের সব রাষ্ট্রযন্ত্র কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন যা চাচ্ছে সরকার তা বাস্তবায়ন করছে। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন দেশের অধিকাংশ ইউএনও, ওসিদের বদলি করেছে, অনেক ডিসি-এসপিকে বদলি করেছে। অতীতে এরকম ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনেক কঠোর অবস্থান নিয়েছে।’
জাতীয় পার্টির সাথে জোট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের মিত্র। ১৫ বছর ধরে একসাথে গণতন্ত্র রক্ষায় ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। এই নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি আমাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় পার্টিসহ আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি, ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালেও তারা জোটবদ্ধ হয়েছিল। তবে এই নির্বাচনেও আলোচনা চলছে, তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তবে আমাদের অনেকের সাথে কৌশলগত জোট হবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনো প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলে সেটা আমরা দলগতভাবে দেখব।’
এরপর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের উদ্যোগে নির্দেশনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।
সভায় রংপুর বিভাগের জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন।