চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারীতে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাত যাত্রী মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে আছেন চালক। আহত চালকের নাম বিপ্লব মজুমদার (২৮)। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার বারোমাসিয়া ইউনিয়নের বৈদ্যেরহাট এলাকার নেপাল মজুমদারের ছেলে। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকেন হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকায়।
আহত চালকের স্ত্রী আঁখি মজুমদার বলেন, দুপুর ১টার দিকে আমার বড় বোন জয়শ্রী ফোন করে জানান, আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। প্রথমে তাকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বিকাল পৌনে ৩টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।
আঁখি মজুমদার বলেন, প্রতিদিনকার মতো মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চৌধুরীহাট এলাকার বাসা থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন বিপ্লব। আমাদের সংসারে সাত মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে। তার নাম চৈতী মজুমদার। এক বছরের ভাড়ার চুক্তিতে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী মাসে ছয় হাজার টাকা করে মালিককে ভাড়া দেন। তিনি হাটহাজারী সড়কে গাড়ি চালান।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় বাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাত যাত্রী নিহত হন।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, যাত্রী নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি বড়দিঘির পার হয়ে ফটিকছড়ির দিকে যাচ্ছিল। আর বাসটি ফটিকছড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। সিএনজি অটোরিকশাটি চারিয়া বোর্ড স্কুল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসটি চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এত সাত জন নিহত হন। সিএনজি অটোরিকশা চালক বিপ্লব মজুমদারসহ দুই জন আহত হয়।
দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশায় চালক এবং শিশুসহ ৯ জন ছিলেন। এর মধ্যে সাত জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশায় মোট আট জন যাত্রী ও চালক ছিলেন। তাদের মধ্যে আহত অবস্থায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন পাপ্পু দাশ (২৯) ও অটোরিকশার চালক বিপ্লব মজুমদার (২৮)। বাকি সবাই মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন– চিনু দাশ (৫৫), বিপ্লব (২৭), রিতা (৪০), শ্রাবন্তী (১৮), বর্ষা (১০), দীপ (৩) ও দিগন্ত (৩)।
আপনার মতামত লিখুন :