‘আমার বিপক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী নেই, আমি চাইলে বাসায় বসে থাকতে পারতাম’


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ৩:১১ অপরাহ্ন /
‘আমার বিপক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী নেই, আমি চাইলে বাসায় বসে থাকতে পারতাম’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আজকে নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুষ্কৃতিকারী দল (বিএনপি) যারা বলে ভোট দিতে যাবেন না। যারা বলে অসহযোগ আন্দোলন করেন। এসব লোকেরা আজকে প্রচারণা ছড়াচ্ছে নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য। আপনারা যেন কেন্দ্রে না যান। আসন্ন নির্বাচনে আমার বিপক্ষে খুব একটা শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তবে যারা দাঁড়িয়েছে তাদেরকে আপনারা চেনেন না, জানেন না। তাদের কী মার্কা তাও জানেন না। এ অবস্থায় আমি বাসায় বসে থাকতে পারতাম। তবে আপনাদের ভালোবাসার কথা চিন্তা করে ভোটের মাঠে ছুটে এসেছি।’

‘আজকে নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুষ্কৃতিকারী দল যারা বলে ভোট দিতে যাবেন না। যারা বলে অসহযোগ আন্দোলন করেন। এসব লোকেরা আজকে প্রচারণা ছড়াচ্ছে নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য। আপনারা যেন কেন্দ্রে না যান। আসন্ন নির্বাচনে আমার বিপক্ষে খুব একটা শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তবে যারা দাঁড়িয়েছে তাদেরকে আপনারা চেনেন না, জানেন না। তাদের কী মার্কা তাও জানেন না। এ অবস্থায় আমি বাসায় বসে থাকতে পারতাম। তবে আপনাদের ভালোবাসার কথা চিন্তা করে ভোটের মাঠে ছুটে এসেছি।’একটি কুচক্রি মহল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা নির্বাচন বর্জন করি ক্ষান্ত হয়নি। তারা এখন চেষ্টা করছে মানুষকে গলা টিপে ভোটকে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য।’

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তার নিজ নির্বাচনি এলাকা আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর খেলার মাঠে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে বলছি, এ বিএনপি জামায়াত যখন নির্বাচন করতো তারা ভোট ডাকাতি করতো। আমরা দেখেছি ১৯৭৯ সালে ব্যালট বাক্স  ভর্তি করে ভোট নিয়েছে। আমরা দেখেছি, ১৯৮৬ সালে এরকম ভোট বাক্স ভর্তি করে ভোট নিয়েছে। ১৯৮৮ সালেও আমরা দেখেছি। এরশাদ এবং জিয়াউর রহমানের সময় এরকম হতে দেখেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোট দেখেছি। খালেদা জিয়া জনগণের মতামতের কথা চিন্তা না করেই ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট করেছেন। এতে জনগণের অংশীদারিত্ব ছিল না। পরে তোপের মুখে তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।’

আনিসুল হক বলেন, ‘তারা যেমন ভোট না করে পাস করা সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করতো। এখন বলছে ভোট দিতে যাইয়েন না। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনার আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চান। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় এলাকাবাসী আপনারা দেখেছেন, বাংলাদেশকে বলা হতো সারা বিশ্বের তলাবিহীন ঝুড়ি। সৌদি আরব, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের বলা হতো মিসকিন। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪ বছর সেবামূলক শাসনের কারণে আজকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। সারাবিশ্বে এখন বাঙালিকে কেউ মিসকিন বলে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের নিয়ম ছিল যখন নির্বাচন হবে, তখন তারা এলাকায় যেত। গিয়ে বলতো আপনারা আমাদের ভোট দেবেন কিনা? তখন মানুষ ভয়ে হাত তুলতো। তখন বলতো আপনার হাত তুলেছেন। আমরা ভোট পেয়েছি। আপনাদের আর কেন্দ্রে যেতে হবে না। সেই জামানা চলে গেছে। এখন আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আমার প্রিয় এলাকাবাসী সত্যিকার অর্থেই আমাকে ভালোবাসলে সময় এসেছে প্রমাণ করার। আমাকে নয়, আমি তো বিশ্বাস করি আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। সারা বিশ্বকে প্রমাণ করার জন্য ভোট কেন্দ্রে যাবেন। কারণ আমি আইনমন্ত্রী। সারা বিশ্বের ক্যামেরা তাক করে রেখেছে আমার দিকে। আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে আমাকে ভালোবাসেন, তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেন, আপনারা আমাদের সরকারকে ভালোবাসেন। আপনাদের সন্তান আনিসুল হককে ভালোবাসেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা যদি ভোটকেন্দ্রে যান, আপনাদেরকে একটি কথা বলে দিতে পারি, আপনারা এ দেশের নাগরিক হিসেবে শুধু কর্তব্য পালন করবেন না- আপনারা দেখাবেন বাংলাদেশকে বাঙালিরা কত ভালোবাসে। উন্নয়ন কসবা-আখাউড়ায় হচ্ছে, হবে। এ উন্নয়ন চলবে ইনশাল্লাহ।’