টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে ৭০০ পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কেটে যাওয়ায় শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এরপর বিকালে পর্যটকরা জাহাজে করে ফিরে আসেন।
এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দবাদ, বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যান এসব পর্যটক। এরপর থেকে মিধিলির প্রভাবে এ রুটে সর্তকসংকেত দেওয়া হয়। এর ফলে দ্বীপে আটকা পড়েন পর্যটকরা।
সতর্কসংকেত কেটে যাওয়ায় ফের জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দবাদ জাহাজ সেন্টমার্টিনে গিয়ে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে আসে। তবে যাওয়ার সময় বার আউলিয়া জাহাজে কোনও যাত্রী না থাকলেও কেয়ারি সিন্দবাদে করে ৬০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি জাহাজে প্রায় ৭০০ পর্যটককে দ্বীপ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। তারা ঘাটে ফিরে যে যার মতো রওনা দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে দ্বীপে থাকা পর্যটকরা ফিরেছে।
জানতে চাইলে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও জাহাজগুলোর চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরার সময় দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরে এসেছেন।’
আপনার মতামত লিখুন :