বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় গত কয়েকদিন ধরে সূর্য ও মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে ফুটপাত, রোড ডিভাইডার ও স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যে শীতবস্ত্র বিতরণ হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। শীতের পাশাপাশি শীতজনিত রোগ বাড়ছে।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। রেল স্টেশন এলাকায় বসবাস করা দুস্থরা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত সাধারণ জনগণ শীতবস্ত্র কিনতে ছুটছেন। ফুটপাত থেকে শপিংমল সব জায়গায় শীতার্ত মানুষের ভিড়। ফুটপাত ও হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের কারণে চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার বিক্রি বেড়েছে। বিদেশ থেকে আসা পুরনো শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন।
শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে রাস্তায় শীতের পোশাক বিক্রেতা আবদুর রহমান, নিজাম শেখ, কামাল হোসেন প্রমুখ জানান, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে তাদের ব্যবসা বেড়েছে। ১০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায় হুডি, সোয়েটার ও জ্যাকেট বিক্রি করছেন।
পাশের অপর দোকানি রফিকুল জানান, তিনি উলেন টুপি, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিক্রি করছেন। দরিদ্র মানুষের চাহিদা অনুসারে স্বল্প মূল্যে এসব শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা শহরের কাটনারপাড়ার রেজাউল ও নিশিন্দারার নূর হোসেন জানান, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীতবস্ত্রের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মামুন জানান, রবিবার সকাল ৬টায় জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ বিকাল ৩টায় ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
তিনি আরও জানান, আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর বৃষ্টি হলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শীতের কারণে শীতজনিত রোগ বাড়ছে। তবে তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :