বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় বিএনপি জামায়াতের অবরোধকালে তিনটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগসহ ১৯ মামলার আসামি সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৯) গ্রেফতার হয়েছেন। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা শনিবার রাতে তাকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। রবিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, মিজানুর রহমান সদর উপজেলার গোকুল পশ্চিমপাড়ার মৃত আফসার আলীর ছেলে। তার নামে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অবরোধ চলাকালে সদরের বাঘোপাড়া ও দীঘলকান্দি এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যান ও দুটি ট্রাকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। সদর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে চারটি মামলায় মিজানুর রহমানের নাম রয়েছে। তার নেতৃত্বে অবরোধকারীরা গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার এড়াতে মিজানুর ঢাকায় পালিয়ে গেলেও সেখান থেকে নাশকতার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেন। গোপনে খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু হাসান জানান, মিজানুর রহমান তার সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করে সরকার পতনের আন্দোলন দমন করা সম্ভব নয়। তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
অন্যদিকে, বগুড়া ডিবি পুলিশ শনিবার রাতে কাহালু পৌর এলাকা থেকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদকে গ্রেফতার করেছে। কাহালু থানার এসআই নাজমুল হক জানান, আজাদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় একটি নাশকতার মামলা রয়েছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :