অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ৪:০১ অপরাহ্ন /
অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

আশ্রয় ডেস্ক

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাধ্যমতো লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের ঘরের মাঠে জামাল ভূঁইয়ারা যে সুবিধা করতে পারবে না সেটা আগেই কিছুটা অনুমান করা গিয়েছিল। মাঠের লড়াইয়েও ফুটে উঠলো তা। ৯০ মিনিটের ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সকারুসদের গোল উৎসবের ম্যাচে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বদলি খেলোয়াড় ম্যাকলারেন। 

প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাগতিকরা স্টিমরোলার চালিয়ে চার গোল দিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ দলকে। বৃহস্পতিবার মেলবোর্নের রেক্টাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলেছে স্বাগতিকরা। তাদের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বিশ্বনাথ-তারিকদের। তাতে ১৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে প্রথমার্ধেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। শারীরিক উচ্চতা, সেটপিস ও স্কিলের সুবিধা নিয়ে সকারুসরা বাংলাদেশ দলকে চাপে ফেলে শুরুতেই। ম্যাচঘড়ির ৪ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেছে। ক্রেগ গুডউইনের ফ্রি-কিকে হ্যারি সাটার লাফিয়ে উঠে হেড করে জাল কাঁপিয়েছেন। সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ডিফেন্ডারের সঙ্গে সেঁটে থাকা তারিক কাজী কিছুই করতে পারেননি।

বাংলাদেশ পুরো অর্ধে তিন থেকে চারবার প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে গেছে। একবার তো সুযোগও তৈরি করেছিল। ১০ মিনিটে রাকিব বক্সে ঢুকে শট নিলেও তা পোস্টের বাইরে জাল কাঁপিয়েছে এক ডিফেন্ডারের বাধার মুখে।

তারপর শুধু অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। ২০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০। সতীর্থের নিচু ক্রসে বোরেল্লো ফাঁকায় পোস্টের সামনে থেকে আলতো করে প্লেসিং করে জালে বল পাঠিয়েছেন। ২৬ মিনিটে বোরেল্লোর হেড গোলকিপার মিতুল দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তালুবন্দি করে দলকে রক্ষা করেছেন। 

৩৩ মিনিটে আরেকটি সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার, কর্নারে ইয়ানো বাক্কাসের হেড অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সুযোগ মিসের পর ৩৮ মিনিটে স্বাগতিকরা আবারও এগিয়ে যায়। সতীর্থের তুলে দেওয়া বলে দীর্ঘদেহী মিচেল ডিউক জায়গায় দাঁড়িয়ে হেড করে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেছেন। ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ আবারও পরাস্ত হয়েছে। বোরেল্লোর শট পোস্টের নিচে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে ডিউক আলতো শটে গোল করেছেন। 

বিরতির পরও স্বাগতিকদের আক্রমণে ধার কমেনি। বরং বদলি খেলোয়াড় ম্যাকলারেন এই অর্ধে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। ৪৮ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া দেখা পায় পঞ্চম গোলের। সতীর্থের নিচু ক্রসে বদলি নামা ম্যাকলারেন আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন। গোলকিপার মিতুল সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বলের নাগাল পাননি। তার কিছু পরই ম্যাকলারেনের জোরালো শট গোলকিপার মিতুল কোনোমতে রুখে দিয়েছেন।

৬০ মিনিটে জামাল রাকিব ও হাসান মুরাদের জায়গায় রবিউল, শাকিল ও রফিকুল বদলি হয়ে মাঠে নামেন। পরে নামেন শেখ মোরসালিনও। তাতেও ম্যাচের খেলাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

খেলার ধারায় ৭০ মিনিটে স্কোরলাইন ৬-০ করে অস্ট্রেলিয়া। মাসিমো লুংগোর শট গোলকিপার মিতুল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফিরতি বলে গোল করতে ভুল করেননি ম্যাকলারেন। ৮৪ মিনিটে মিলারের নিচু ক্রসে ম্যাকলারেনের প্লেসিংয়ে আসে সপ্তম গোল।

৮৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও অস্ট্রেলিয়া গোল করতে পারেননি। না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। লুংগোর শট মিতুল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেছেন।

পুরো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার ম্যাথু রায়ানকে কোনও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বরং হেসে খেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সকারুসরা গোল উৎসব করেছে।