মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী থাইল্যান্ডে এক ট্রাকে শ্বাসরোধে মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার সন্দেহভাজন দুই পাচারকারীকে গেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এ কথা জানায়।
ব্যাংকক থেকে এএফপি জানায়, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে প্রধানত মুসলিম রোহিঙ্গারা ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়ে প্রতি বছর কয়েক হাজার তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার চুমফোন প্রদেশের একটি জঙ্গলে এক সন্ন্যাসী হেটে যাওয়ার সময় আটজন জীবিত ও দুই মৃত শরণার্থীকে পান। জীবিতদের মধ্যে সাতজন আহত।
আহতদের একজন পুলিশকে বলেছে, অভিযুক্ত পাচারকারীরা থাই-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার পর ২৬ জনকে দুটি গাড়িতে তুলে নেয়।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে,‘চালক রোহিঙ্গাদের কয়েকজন আহত হয়েছে বুঝতে পেরে সেখানে তাদের ফেলে দেয় বলে অভিযোগ এসেছে।’
কর্মকর্তারা দুই থাই চালককে গ্রেফতার করেছে এবং আরও তদন্তের জন্য তাদের ট্রাক বাজেয়াপ্ত করেছে।
তারা বলেন, গ্রুপের অন্য ১৬ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে।
সেনাবাহিনীর অভিযানে ২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জাতিসংঘের গণহত্যা আদালতের মামলার বিষয়।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে তিন বছরের অভিযানে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :