বুলগেরিয়ায় চার বছরে সপ্তম নির্বাচনে ঝোঁক ডানপন্থীদের পক্ষে


assroy প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ৫:৪৪ অপরাহ্ন /
বুলগেরিয়ায় চার বছরে সপ্তম নির্বাচনে ঝোঁক ডানপন্থীদের পক্ষে

বুলগেরিয়ানরা রাজনৈতিক অস্থিরতা অবসানের ক্ষীণ আশা নিয়ে চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাদের সপ্তম নির্বাচনে  রোববার ভোট দিচ্ছে।

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া থেকে এএফপি জানায়, ব্যাপক দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে তিনবারের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী বয়কো  বোরিসভের মন্ত্রিসভার পতনের পর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরিদ্রতম এই সদস্য রাষ্ট্রটি ২০২০ সাল থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত টানা ছয়টি নির্বাচন একটি স্থিতিশীল সরকার প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। বরিসভের জিইআরবি পার্টি  রোববারের ভোটে পুনরায় শীর্ষে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জিইআরবি’কে শাসন করার জন্য অংশীদার খুঁজতে হবে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচনী জালিয়াতির আশঙ্কায় ভোটারদের উপস্থিতি কম। কমিউনিজমের অবসানের পর,  পাঁচ মাস আগের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল সর্বনি¤œ মাত্র ৩৪ শতাংশ। সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুসারে, প্রায় ৬০ শতাংশ বুলগেরিয়ান রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন।

সোফিয়ার রাস্তায় ভোটারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। ৩৩ বছর বয়সী আইটি কর্মী অ্যানেলিয়া ইভানোভা এএফপিকে বলেন, এটা নিশ্চিত যে আমরা বিরক্ত হয়ে গেছি। ঘুরেফিরে প্রতিবারই একই ফলাফলের একটি ঘূর্ণায়মান চক্রে আটকে থাকতে থাকতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। 

১৯৮৯ সাল থেকে দেশটিতে নজিরবিহীন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ওই সময় কট্টর জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী ‘ভাজরাজডেন’ পার্টি সমর্থন পায়। উদারপন্থি সংস্কারবাদী পিপি-ডিবি  জোটের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়াপন্থী দলটি বর্তমানে ১৩-১৪ শতাংশ ভোট পাচ্ছে। দলটি প্রতিটি নতুন অন্তর্বর্তী নির্বাচনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়েছে।

আগস্টে পার্লামেন্টে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পাস করা এলজিবিটিকিউ’র ‘প্রচার’ নিষিদ্ধ করার একটি আইনের প্রস্তাব করার পরে ভাজরাজডেন দলটি  ভোটারদের সমর্থন  পেতে শুরু করে বলে মনে করা হয়। আইনটি সরাসরি রাশিয়ার অনুরূপ আইন দ্বারা প্রভাবিত। বুলগেরিয়া একটি ন্যাটো সদস্যভূক্ত দেশ হলেও, সেখানে অনেক নাগরিক রুশপন্থী।
দেশের সাতটি নির্বাচন আয়োজনের খরচের পরিমাণ প্রায় ৪৩৩ মিলিয়ন ডলার, যা দেশটির জন্য বোঝাস্বরূপ। রোববার  ভোটকেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৭টা খোলে এবং ভোট গ্রহন চলবে রাত ৮ টা পর্যন্ত ।