৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে শিল্পকলায় ব্যতিক্রমধর্মী গানের আয়োজন ‘আওয়াজ উড়া’


assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৬, ২০২৪, ৫:৪৮ অপরাহ্ন /
৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে শিল্পকলায় ব্যতিক্রমধর্মী গানের আয়োজন ‘আওয়াজ উড়া’

জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানের সময়ে যে সমস্ত গান ও শ্লোগান ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বরকে উদ্বুদ্ধ করেছিল সেসব জনপ্রিয় ও  প্রাসঙ্গিক গানগুলো নিয়ে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ৮ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে  এসব গণঅভ্যুত্থানের গান ‘আওয়াজ উড়া’। ব্যতিক্রমধর্মী  গানের এ আয়োজন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

‘আওয়াজ উড়া’ অনুষ্ঠানে র‌্যাপ সংগীত পরিবেশন করবেন র‌্যাপার হান্নান হোসেন শিমুল এবং তার দল, ব্যান্ডদল এফ মাইনর, যিন ব্রাদার্স, লুম্বিনী চাকমাসহ অনান্য শিল্পীরা। 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শামসী আরা জামান (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ তাহীর জামান প্রিয়’র মা)। 

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল (বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত) এবং স্বাগত বক্তৃতা করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। 

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই সমবেত সংগীত ‘চল চল চল’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা। সমবেত সংগীত ‘আমরা করবো জয়’ ও ‘নীল নির্বাস’ পরিবেশন করবে ডেমোক্রেসি ক্লাউন। এরপর শিল্পী লুম্বিনী চাকমা ‘চাকমা ভাষার গান’, ধর্মচন্দ্রা তঞ্চজ্ঞা সন্তোষ ‘তঞ্চজ্ঞা ভাষার গান’, ডিউক মুরমু ‘সাঁওতাল ভাষার গান’, সমাপন স্মাল ‘গারো ভাষার গান’ পরিবেশন করবেন। একক সংগীত পরিবেশন করবেন আহমেদ হাসান সানী এবং ব্যান্ড সংগীত ‘আদিবাসী গান’ পরিবেশন করবে এফ মাইনর। র‌্যাপ সংগীত পরিবেশন করবে যিন ব্রাদার্স এবং হান্নান হোসেন শিমুল ও তার দল। অনুষ্ঠানে সবশেষে সমবেত সংগীত ‘মোরা ঝঞ্জার মত’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া দৃঢ়তা ও আশার চেতনা নিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে জনগণের কণ্ঠস্বরকে, তারুণ্যের দীপ্ততাকে, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যকে এবং সেই নতুন দিগন্তকে যার উপর আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি। জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত গান, শ্লোগান বা অন্যান্য কার্যক্রম অভ্যুত্থানকে বেগবান করেছে যা আন্দোলনকে প্রভাবিত করে। যার ফলে অনেক শিল্পী আইনগতভাবে নানান ঝুঁকির মুখে পড়েন। আইনি জটিলতা উপেক্ষা করেই গানের মধ্যমে সাধারণ জনতাকে একত্রিত করেছেন অনেকে। তারা অভ্যুত্থানের বার্তা দিয়ে ঐ প্রতিকূল মুহুর্তে যেভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন এই বিজয়ে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।