আশ্রয় ডেস্ক
জেলা সদরে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝি (৫৮) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাহাদুর মাঝি ৪০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে র্যা বের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন।
বাহাদুর মাঝি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে র্যা ব অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ের মধ্য চর রমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যা বব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ জানুয়ারি র্যা বের নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) লিটন চন্দ্র দত্ত আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ইয়াবাকান্ডে প্রথম মামলায় চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) মনির, ইউনিয়নের মো. ইব্রাহিম ও আমির হোসেন কারাগারে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :