আশ্রয় ডেস্ক
হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।
হরতাল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে দল দুটি।
সমাবেশে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কী অবস্থা! প্রার্থী দিয়ে কূল পায় না, আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়াতে বলে। আবার কিংস পার্টিও আছে। যারা সরকারের অনুগ্রহ চায়, তাদেরও নাকি সিট ভাগাভাগি করতে হবে। যারা বিরোধী দলে নির্বাচন করবে তাদের সিটও নাকি শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। ৭ জানুয়ারি যে হাস্যকর নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, এর থেকে পার পাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উগান্ডা হয়ে গেছে। সেখানে একজন স্বৈরশাসক ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সেখানে কোনও বিরোধী দল নাই। তারা এককভাবে নির্বাচন করে এককভাবেই দেশ চালায়। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সব থেকে নিম্নমুখী। সেই উগান্ডা থেকে নাকি ১১ জন পর্যবেক্ষক আসবে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা আর কোনও বন্ধু খুঁজে পান নাই। শেষ পর্যন্ত উগান্ডা-সোমালিয়া– এসব জায়গায় যাচ্ছেন। জাতিসংঘ বলেছে, তারা কোনও পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এই পাতানো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা বলেছে, আপনারা একদলীয় নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচন করার অর্থটা কী?’
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরকার চাখারী বলেন, ‘কাল তৈমুরের (তৈমুর আলম খন্দকার) একটা ফোন কল ফাঁস হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমি পাঁচ আসন থেকে নির্বাচন করবো না। এক আসন থেকে নির্বাচন করবো। তাহলে তিনি (শেখ হাসিনা) ৩০টা দলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী না, তিনি তৃণমূলেরও (তৃণমূল বিএনপি) সভানেত্রী।
সমাবেশে আরও ছিলেন– গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান নাসরীন খান ভাসানী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :