আশ্রয় ডেস্ক
সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সাবিনা-ঋতুপর্ণা-তহুরারা মিলে চেপে ধরে একের পর এক লক্ষ্যভেদ করেছে। এমন জয়ের পর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে ম্যাচশেষে দর্শকদের অভিবাদনের জবাবও দিয়েছেন ফুটবলাররা। তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় আসবে, তা কারও কল্পনায় ছিল না।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। টানা দুই ম্যাচে অনায়াসে জয়ের পর সবার অবয়বে খুশির ফোয়ারা। কোচ টিটু তো এমন স্কোরলাইন দেখে অবাক, ‘প্রথম ম্যাচে তিন গোলে জিতেছি। গোল মিসও হয়েছিল। আজ ভালো খেলেছে। সব কৃতিত্ব তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে দল আরও ভালো খেলেছে।’
এরপরই সাবেক বাংলাদেশি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ৮-০ গোলে জিতেছে। ওয়াও! আসলে এমন বড় ব্যবধানে জয়টা আশা করিনি। সাধারণত কী হয়। একাধিক গোলের পর অনেক সময় গোলের ক্ষুধাটা কমে আসে। তবে আজ শেষ মিনিট পর্যন্ত সবার মধ্যে আগ্রাসী মনোভাব ছিল। তাই আমার কাছে অবাক লেগেছে। আমার এখানে কোনও অবদান নেই। সব খেলোয়াড়দের অর্জন। ওরা এশিয়াডে জাপানের সঙ্গে খেলে মানসিকভাবে অনেক উন্নতি করছে। সেটা আজকের খেলাতে কাজে লেগেছে।’
অধিনায়ক সাবিনা চেয়েছিলেন শুরুর দিকে গোল আদায় করে নিতে। সফল হয়ে বলেছেন, ‘মেয়েরা ভালো খেলেছে। অনেক পরিশ্রম করেছে। সবার লক্ষ্য ছিল ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোল বের করে আনা। সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
ম্যাচে ঋতুপর্ণা করেছেন জোড়া গোল, দুটি অ্যাসিস্টও। রাঙামাটি থেকে উঠে আসা ফরোয়ার্ড হাসিমুখে বলেছেন, ‘আমার সেরা ম্যাচ এটা। স্মরণীয় ম্যাচ। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। হ্যাটট্রিক করতে না পেরে কোনও আফসোস নেই। দল জিতেছে এটাই বড় বিষয়।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৩০ এ থাকা সিঙ্গাপুরের কোচ করিম বেনশেরিফা অসহায় সুরে বলেছেন, ‘আমাদের দলে নতুন খেলোয়াড় রয়েছে। বয়স তাদের বেশি নয়। তারা এখনও শেখার পর্যায়ে রয়েছে। তাই সেভাবে লড়াই করা যায়নি। তবে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে ভালো খেলেছে। ভালো খেলেই ম্যাচ জিতেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :