শীর্ষ অর্থনৈতিক বৈঠকে বসছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ৩:১৫ অপরাহ্ন /
শীর্ষ অর্থনৈতিক বৈঠকে বসছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এই আলোচনা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। তবে ১৯১০-১৯৪৫ সালে জাপানের কোরিয়া দখলের একটি ঐতিহাসিক বিরোধের কারণে দুই উত্তর এশীয় মার্কিন মিত্রদের মধ্যে বৈরিতা দেখা দিলে ২০১৬ সালে তা স্থগিত হয়।

তবে ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওল দায়িত্ব নিলে টোকিওর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাং জায়ে-কোয়ান এবং জাপানের জ্যেষ্ঠ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেইচি ওনো। এ সময় দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল্যায়ন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নীতি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে, ১৯১০-১৯৪৫ সালে জাপানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা মানুষদের দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর ক্ষতিপূরণ দেবে বলে ঘোষণা করেছিল ।

এদিকে, ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিরীক্ষণে সহায়তা করার জন্য জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ওয়াশিংটন একটি রিয়েল-টাইম ক্ষেপণাস্ত্র ডেটা-শেয়ারিং সিস্টেম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ-প্রযুক্তি সামগ্রীর উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর জুলাই মাসে ফাস্ট ট্র্যাক বাণিজ্য রপ্তানির জন্য দেশটিকে ‘সাদা তালিকা’ ভুক্ত করেছে জাপান। তবে তা সত্ত্বেও, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে।

উদাহরণসরূপ, সিউলের ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা থেকে উদ্ভূত সামুদ্রিক খাবারের উপর দশকব্যাপী নিষেধাজ্ঞা এবং সম্প্রতি ‘প্রমোদ রমণী’ নামে পরিচিত দক্ষিণ কোরীয় নারীদের একটি দলের পক্ষে রায় দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত। ওইসব নারীরা যুদ্ধকালীন জাপানের পতিতালয় কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে টোকিওতে এ ধরনের অর্থনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।