পিরোজপুর প্রতিনিধি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর-পিরোজপুর-ইন্দুরকানী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আমি আপনাদের ভোটের অমর্যাদা করিনি। তাই আবারও আপনাদের ভোট প্রার্থনা করছি। আমি অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা একজন মানুষ। সাধারণভাবেই থাকতে চাই। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে আজীবন চলতে চাই।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পিরোজপুর শহর বাজারে গণসংযোগকালে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের তিনি এ কথা বলেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পিরোজপুর শহর বাজারের প্রতিটি অলিগলিতে গণসংযোগকালে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সঙ্গে কখনও হাত মেলান আবার কখনও জড়িয়ে ধরেন। বাদ যায়নি মাছ ও সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরাও।
মন্ত্রী দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘নৌকা লইয়া আইয়া পরছি’। আবার একটু দূরে দাড়িয়ে থাকা লোকদের দিকে মৃদু হাঁক দিয়ে হেসে বলেন, ‘এদিকে আইয়া পরো’। এ সময় ওই মানুষগুলো এগিয়ে কাছে এলে কোলাকুলি করেন মন্ত্রী।
একজনকে জড়িয়ে ধরে মন্ত্রী আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘মার্কা কিন্তু নৌকা পাইয়া গেছি মুই। ভোট দেওয়া লাগবে আনে।’ এ সময় অনেকে মন্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এমপি বা মন্ত্রী ভোগ বিলাসের জন্য না। এটা মানুষের সেবার জন্য। অনেকে এটাকে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেয়। যা অনৈতিক। জনগণের সঙ্গে ক্ষমতার দম্ভ দেখালে জনগণই একসময় মুখ ফিরিয়ে নেয়- এরকম অনেক নজির আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় নৌকার সঙ্গে ছিলাম, এখন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছি। যদি কোনও দিন নৌকা নাও পাই তারপরও নৌকা ছেড়ে যাবো না।’
গণসংযোগকালে পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জসীম উদ্দিন খান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জমান ফুলু, পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সিকদার চাঁন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জমান খান শামীমসহ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।
শ ম রেজাউল করিম ২০১৮ সালে পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে গণপূর্ত মন্ত্রী পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
আপনার মতামত লিখুন :